দাড়িটুপি-ফোবিয়া


অদ্ভূত আকৃতির রাষ্ট্র পাকিস্তান গঠন’৪৭, অদ্ভূতুড়ে রাষ্ট্র পাকিস্তান ভাঙন’৭১, ১২০০ মাইলটেক দূরে খণ্ড খণ্ড খণ্ডিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা (?) ইত্যাদি দীর্ঘ আলাপিঙের ব্যাপার। সবকিছু আমার মাথায় ধরেও না। কিন্তু বাংলাদেশ সৃষ্টির পর একটা বিশেষ মহলের চরিত্র যেকোনো প্রাইমেট-হিউম্যানয়েডের এমনকি ডাউনস সিনড্রোম, অটিজমে আক্রান্ত স্যাপিয়েন্সেরও মগজে ধরার কথা। নিচের লেখাটা হুইটম্যান নামক আইডি থেকে নেয়া:

যুদ্ধাপরাধী হিসাবে টার্গেট দাড়ি টুপি এবং সেখান থেকে হোল দাড়ি টুপি ওয়ালা লোকজনকে জঙ্গী/রাজাকার হিসেবে দেখার আগে একটা পরিসংখ্যান সম্পর্কে কিছু কথা। আজকাল দাড়ি রাখলেও এদেশে বিভিন্ন ঝামেলা হচ্ছে, পুলিশী ঝামেলা,জব ঝামেলা, গনমানুষের কাছে টেরোরিস্ট খেতাব পাওয়া সব নানান কিছু। বাংলাদেশের প্রতিটি মিডিয়া যুদ্ধাপরাধীদের যে ব্যঙ্গ চিত্র অংকন করছে তাতে মানুষের মনে একটি ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে যে দাড়ি আর টুপীধারীরাই যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতা বিরােধী, দেশের সকল অমঙ্গলের হােতা।

<image1>
<image2>
<image3>
<image4>
<image5>

<image6>

তবে মজার ব্যাপার হল আওয়ামী লীগ সরকার ঘােষিত ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর কারােই দাড়ি-টুপি ছিল না। তারা পাকিস্তানের নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিলাে। এর বাইরে ৪২ হাজার বাংলাভাষী মানুষকে পাকিস্তানীদের সহায়তাকারী রাজাকার, আলবদর, শান্তি-কমিটির সদস্য হিসেবে গ্রেফতার ও বিচারের সম্মুখীন করা হয়। রাজাকার অধ্যাদেশ দ্বারা গঠিত এ বাহিনী তৎকালীন পুলিশবাহিনীর মত একটি বাহিনী ছিলাে, যদিও সংখ্যা ছিলাে প্রায় ৩৭ হাজার। তাদের অধিকাংশেরই দাড়ি- টুপি ছিলাে না। শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মেম্বারদের অধিকাংশই কালে নিজে বাঁচার জন্য এবং এলাকাকে পাকিস্তান বাহিনীর অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যােগদান করেছিল। উল্লেখ্য যে, শান্তি কমিটিতে আওয়ামী লীগ, মুসলিম লীগ, পিডিপি, জাতীয় দিল, জামায়াতসহ সকল দলের নেতা-কর্মীরা ছিলেন।এ অবস্থায় দাড়ি-টুপিকে স্বাধীনতা বিরােধী বা যুদ্ধাপরাধীর সিম্বল করাটা সুদূরপ্রসারী ধর্ম বিরােধী চক্রান্ত।

<image7>
<image8>
<image9>
<image10>
<image11>
<image12>

স্বাধীনতাবিরােধী হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের অখন্ডতায় বিশ্বাসী চীনপন্থী কমুনিস্ট ছিল দাড়ি-টুপির বিরোধী। স্বাধীনতাবিরােধী উপজাতি ও বৌদ্ধরাও দাড়ি-টুপিধারী ছিল না। তাদেরকে symbolized না করে ইসলামের নবীর সুন্নতের বিরুদ্ধে অপমানজনক প্রকাশ ইসলামপন্থীদের ধর্মের প্রতি যেমন কটাক্ষ তেমনি আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণার শামিল। এবার আখতারুজ্জামান মুকুল রচিত চরমপত্র বই থেকে একটা পরিসংখ্যান দেখি-

<image13>

সেক্যুলার পাক আর্মির সব অপকর্মের দায় যারা ধর্মের উপর চাপায়, রাষ্ট্র হিসেবে খণ্ডবিখণ্ড হাস্যকর একটা সেক্যু রাষ্ট্রের ব্যর্থতার দায় ধর্মের উপর চাপায়, মুক্তিযুদ্ধের ধুয়া তুলে ইসলামের দাঁড়ি-টুপি জাতীয় বেইসিক নিদর্শনকে যারা নাটক-সিনেমা-উপন্যাস দিয়ে ন্যাংটা হয়ে আক্রমণ করে, কলকাতার এলিট বাঙালি হিন্দুর কালচারকে যারা সার্বজনীন বাঙালি কালচার হিসেবে কষে বাঁধতে চায় পূর্ববঙ্গের বাঙালি মুসলমানের উপর। দাড়ি-টুপি থাকলে চাকরি দেয় না, অপমান করে ক্লাসে-অফিসে। এদেরকে শনাক্ত করুন। পর্যাপ্ত রিডিকিউল করুন যেন আয়নায় নিজেকে দেখলে ভাঁড় মনে করে নিজেই হেসে ওঠে। পাওয়ামাত্র কথা দিয়ে ধুয়ে দেন। ব্যবসায়ী হলে বয়কট করুন। বস-বন্ধু-কলিগ যেই হোক, তাকে বুঝিয়ে দেন, তুমি মানুষ না, তুমি একটা তামাশা, তুমি একটা জোকস। তুমি পূর্ববঙ্গের জনগণের কলঙ্ক, তুমি এই দেশে বিলং করো না।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *