-
মগজেই নারী, মগজেই পুরুষ

মিথ্যুক খুশি আপা আবারও মিছে কথা বলে আপনার সন্তানের মন-মগজ নষ্ট করছে। খুশি আপার এসব অবৈজ্ঞানিক মিথ্যা কথা (নারী-পুরুষের বৈশিষ্ট্যের পার্থক্যের কোনো ভিত্তি না থাকার বয়ান) বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত কোন বিষয় নয়। এটা সমকামী এক্টিভিস্টদের রাজনৈতিক অবস্থান। যা দ্বারা তারা ১৯৭০-২০০০ সাল ব্যাপী সকল আন্তর্জাতিক সংগঠন, বৈজ্ঞানিক একাডেমিয়া, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে আসছে।…
-
মুসলিমবঙ্গের জমিদারগণ

৩৩৩ জনের মধ্যে ৩৪ জন মুসলিম (১০%)। ৯০% জমিদার হিন্দু। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ৮০% ছিল মুসলিম। রেখে দিলাম। কখনও কোনো কাজে লেগে যাবে। অমৃত নগর জমিদারবাড়ি অতুল কৃষ্ণ রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি (বর্তমানে মৈশান বাড়ি নামে পরিচিত) অভিমন্যুর জমিদার বাড়ি অলোয়া জমিদার বাড়ি প্রায় ১৮০০ শতকে জমিদার সচী নাথ রায়…
-
মিথ্যুক রাক্ষসী খুশি আপা

[৭ম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ছবিটা দেখুন] আজ থেকে ৩০ বছর আগের বস্তাপচা সোশ্যাল কনস্ট্রাকশন থিওরি বাচ্চাদের কচিমনে সত্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, যা গত ২০ বছর ধরে মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে একের পর এক রিসার্চে। মায়ের পেট থেকেই একই ধরনের খেলনা দিয়ে তাদের খেলার কথা ছিল না। একই ধরনের খেলনা দিয়ে ছেলেবাবু-মেয়েবাবু যে…
-
ভাষাগত বাঙালিয়ানা : শেষ পর্ব

বর্তমান বাংলা গদ্যধারার সাথে বাঙালির নাড়ির সম্পর্ক নেই। নাড়ির ভাষাটা কই গেল? সেটা ‘মুসলমানি বাংলা’ নাম ধারণ করে ‘গদ্য হিসেবে’ পরিত্যক্ত হল। কিন্তু পদ্য হিসেবে আরও একশ বছর টিকেছিল সেই বাংলা। যাকে আমরা ‘দোভাষী পুঁথি’ বা ‘বটতলার পুঁথি’ নামে চিনি। যদিও এতে সংস্কৃতায়নের প্রতিক্রিয়ায় আরবি-ফারসি শব্দের বাহুল্য ছিল। ৩০-৪০% ফার্সি শব্দ ছিল এতে। (ছবিতে) মানুষের…
-
ভাষাগত বাঙালিয়ানা : পর্ব ৫

এবার একটা গল্প শোনাই। ডাকাতে আমাকে অপহরণ করে দাস বানিয়ে দিল। আমার তল্পিতল্পা ঘাঁটতে গিয়ে সেই হারামী আমার দাদার দাদার এক পুরনো ছবি খুঁজে পেল। সে সিদ্ধান্ত নিল: এটা আমার বাপের ছবি। এবং আমি দেখতে যেমন, আমার এই চেহারাটা আসলে ভুল। আমার চেহারাটা আমার বাপের সাথে (আসলে আমার দাদার দাদা) মিল খাওয়া দরকার। তাই সে…
-
ভাষাগত বাঙালিয়ানা : পর্ব ৪

উপনিবেশপূর্ব বাংলা ভাষা: তের-চৌদ্দ শতক বাংলা ভাষার গঠন যুগ তথা স্বরূপ প্রাপ্তির যুগ। ১৪শ/১৫শ শতকে মুসলিম শাসনামলে ফারসি রাজভাষা হওয়ায় এবং এর বিশেষ মর্যাদার কারণে বাংলায় স্থান পায় প্রচুর ফার্সি শব্দ। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, সুকুমার সেনের মতো বিদগ্ধ ভাষাতাত্বিকদের মতে বাংলা ভাষায় কমবেশি আড়াই হাজারের মতো আরবি ফার্সি শব্দ আছে। ভাষার স্বাভাবিক নিয়মে ক্রমে…
-
ভাষাগত বাঙালিয়ানা : পর্ব ৩

মধ্য বাংলার যুগ: আসল ঠিকাদার ১৩ শতকের শুরুতেও আমরা অপরিণত বাংলা (প্রোটো-বাংলা) পাই কথ্য ভাষা হিসেবে। সেন আমলে দমন পীড়নের মাঝেও কারা সে ভাষা টিকিয়ে রাখল দেখা যাক। ডক্টর নীহাররঞ্জন রায়ের ভাষায়, “ইসলামের প্রভাবে প্রভাবান্বিত কিছু লোক বাংলার কোথাও কোথাও সেই প্রাকৃতধর্মী সংস্কৃতির ধারা অক্ষুন্ন রেখেছিলেন।” [ সুত্র : নীহাররঞ্জন রায় – বাঙালীর ইতিহাস, আদিপর্ব,…
-
ভাষাগত বাঙালিয়ানা : পর্ব ২

উদ্ভবের সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাকে তিনটি ঐতিহাসিক পর্যায়ে ভাগ করে দেখা হয়: প্রাচীন বাংলা: প্রাচীন বাংলার নিদর্শন যে চর্যাপদ, সেটা আসলে বাংলা ভাষা কিনা তা নিয়েও বিতর্ক আছে। অনেক পণ্ডিত বলেছেন, এটা আসলে বাংলা-ই না। আসলে চর্যার পদগুলো বিভিন্ন অঞ্চলের কবিদের দ্বারা লিখিত। এবং তাদের লেখায় তাদের নিজেদের অঞ্চলের ভাষারূপ বা উপভাষার প্রভাবই পাওয়া…
-
ভাষাগত বাঙালিয়ানা : ১ম পর্ব

আর্যরা এদেশে আসে খ্রিঃপূঃ ১৫০০ সালের দিকে। এর আগে নানা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এদেশে বাস করতো। দ্রাবিড়, কোল, মুন্ডা ইত্যাদি। স্থানীয়দের মুখে মুখে আর্যদের বৈদিক ভাষা (সংস্কৃত) বদলে ‘প্রাকৃত’ ভাষা হয়ে যায়। প্রাচীন ভারতবর্ষে সর্বসাধারণের কথ্যভাষা ছিল প্রাকৃত ভাষা। প্রাকৃত ভাষা প্রধানত পাঁচ প্রকার। ৯০০ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে এই ভাষাগুলো থেকে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নব্যভারতীয় ভাষাগুলোর (ডান…
-
সংস্কৃতি-নামা ১

সংস্কৃতি কী? আমরা যা, তা-ই আমাদের সংস্কৃতি। সংস্কৃতি মানে জীবন, জীবনপ্রণালী। নিঃসন্দেহে সংস্কৃতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হচ্ছে ধর্ম। কেননা, একাদেমিয়া বস্তুবাদী হলেও মানুষ বস্তুবাদী না। শতভাগ বস্তুবাদী মানুষ আপনি পাবেন না। ধর্ম হিসেবে হাজির না থাকলেও অন্যকিছু হিসেবে মানুষের মাঝে ভাব হাজির থাকে। ধর্ম না থাকলেও কোনো না কোনোভাবে তার মেটাফিজিক্স থাকে, যা তার চিন্তাধারাকে…
