দিল্লি ও মিরাটের আশেপাশে যে স্থানীয় ভাষা (ভারতের সব ভাষাই বহিরাগত মুসলিমদের কাছে ‘হিন্দি’ বা হিন্দুস্তানি ভাষা) প্রচলিত ছিল, এর নাম দেয়া হয় খাড়িবুলি, যা শৌরসেনী প্রাকৃত থেকে উদ্ভূত কথ্য ভাষা।
খাড়িবুলি ছিল দিল্লি এলাকার ভাষা, এবং বহিরাগত মুসলিম শাসকেরা সাধারণ জনগণের সাথে যোগাযোগের জন্য এই ভাষাই ব্যবহার করতেন। তাদেরই মুখে মুখে ৮ম-১০ম শতকের দিকে ভারতে মুসলিম আক্রমণের সময় উত্তর ভারতের খাড়িবুলি কথ্য ভাষা থেকে ‘হিন্দি/হিন্দুস্তানি’ ভাষার উৎপত্তি ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই যা ছিল প্রচুর আরবি-ফার্সি-তুর্কি মিশ্রিত। প্রায় দু শতক (১২০০-১৪০০) ধরে ফারসি শব্দের মিশ্রণের ফলে এই হিন্দুস্তানি ভাষার জন্ম হয়। [বাংলাপিডিয়া]
মুগল সম্রাট শাহজাহানের (১৬২৮-১৬৫৮) সেনানিবাসের নাম ছিল উর্দু-এ-মুআল্লা। ‘উর্দু’ একটি তুর্কি শব্দ, যার অর্থ সৈন্য। এখানে বিভিন্ন এলাকার সৈন্যরা খাড়িবুলি তথা হিন্দুস্থানিতেই কথা বলত। শাহজাহান তাঁর সেনানিবাসের নামে এ ভাষার নামকরণ করেন ‘উর্দু’। তার মানে আজকের যে ভাষাটি উর্দু নামে পরিচিত, সেই ভাষাটি শাহজাহানের আগে যুগপৎ হিন্দি[1], হিন্দভি, হিন্দুস্তানি[2], দেহলভি ও রেখতা ভাষা নামে পরিচিত ছিল৷ শাহজাহান (১৬২৮-১৬৫৮) একে উর্দু নাম দিলেন। হিন্দুস্তানি ভাষাটিই আসলে আজকের উর্দু ভাষা৷ [3]
কী লিপিতে সেটা লেখা হত?
উর্দু লিপিটি ১৩ শতাব্দীর দিকে ফার্সিকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক Shahzaman Haque বলেন, ১১শ শতকেই উর্দুর (তৎকালীন হিন্দুস্তানি/হিন্দাভি) ভাষা লিখিত হত Perso-Arabic script-এ। এর প্রথম লেখক ধরা হয় Muhammad Sadi Suleiman-কে,যিনি হিন্দাভি ভাষায় লিখতেন। পরে আমীর খসরুর ১৩শ শতকের লেখাজোখা পাওয়া যায়। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, উর্দু কোনো কৃত্রিম ভাষা নয়। ভাষা গঠনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তিল তিল করে গড়ে ওঠা ভাষা। উত্তর ভারতে গণমানুষের মুখের ভাষা (লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা) হয়ে গিয়েছিল উর্দু।
লেখ্য ভাষা বলতে সংস্কৃত ছাড়া আর কিছু ছিল না। এই সংস্কৃত পড়াশোনায় নিম্নবর্ণের হিন্দুদের প্রবেশাধিকার ছিল না। ফলে বহিরাগত এবং ধর্মান্তরিত ভূমিপুত্র মুসলিমদের, সেই সাথে সুফীদের খানকাহে লেখাপড়ার সুযোগপ্রাপ্ত নিম্নবর্গের হিন্দু জনগোষ্ঠীর লেখাপড়ার মাধ্যমও হয়ে ওঠে এই উর্দু। অর্থাৎ উত্তর ভারতে সমগ্র মুসলিম ও নিম্নহিন্দুর কথ্য ও লেখ্য ভাষা হয়ে ওঠে উর্দু।
[1]Rahman, Tariq (২০১১)। From Hindi to Urdu : a social and political history
[2]Bhat, M. Ashraf (২০১৭)। The changing language roles and linguistic identities of the Kashmiri speech community
[3] YATES, W. (১৮৪৭)। A DICTIONARY, HINDUSTANI AND ENGLISH। CIRCULAR ROAD, Calcutta, BRITISH INDIA: BAPTIST MISSION PRESS.
উর্দু ভাষার সাথে পূর্ববঙ্গের সম্পর্ক
উর্দুর বিকাশ ও প্রসার (উত্তর ভারতের বাইরে উর্দু)
দিল্লির সুলতানি আমলে, অর্থাৎ ১২শ-১৬শ শতাব্দী পর্যন্ত সময়ে এবং মুঘল আমলে, অর্থাৎ ১৬শ-১৯শ শতক পর্যায়ে উর্দু ভাষার বিকাশ ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলেন উর্দু ভাষার উৎপত্তি পাঞ্জাবে হলেও উর্দুর বিকাশ ঘটেছিল দিল্লি, হরিয়ানার একাংশ এবং দক্ষিণ ভারতে, যেখানে এ ভাষাকে দখনি বা দক্ষিণি বলে ডাকা হত।
১৪শ-১৬শ শতাব্দী পর্যন্ত দাক্ষিণাত্যে বাহামনি শাসনকালে বিশেষত মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং বর্তমান তেলেঙ্গানায় উর্দু প্রভাব বিস্তার করতে থাকে এবং অনেকেই স্থানীয় শব্দ সহযোগে উর্দু ভাষা ব্যবহার করতে থাকেন। হায়দারাবাদে আজও বিশেষ টাইপ উর্দু উপভাষা চালু আছে।
ইসলাম, মুসলিম ও উর্দু
ঢাবির সহযোগী অধ্যাপক আবদুর রহিম লেখেন, মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যেসব সুফি-সাধক ধর্ম প্রচার করতে এসেছিলেন তাঁরাও লক্ষ্য করলেন যে, ভারতবর্ষের হিন্দিভাষী সাধারণ মানুষের কাছে উর্দু ভাষা বোধগম্য। কেননা উর্দু ভাষার শব্দভাণ্ডারের মূল উৎস হলো হিন্দি (হিন্দুস্তানি) আর ফার্সি। এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য হওয়ায় সুফি-সাধকগণ ধর্ম প্রচারের মাধ্যম হিসেবে উর্দু ভাষাকে বেছে নিয়েছিলেন। [১]
অনেকে প্রশ্ন করেন, উর্দুর সাথে ইসলামের কী সম্পর্ক। এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের সাথে উর্দুর এই হল সম্পর্ক। সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষা হিসেবে উর্দুই ছিল ইসলাম প্রচারের ও ইসলাম শিক্ষাদীক্ষার একমাত্র মাধ্যম।
পূর্ববঙ্গের সাথে উর্দুর সম্পর্ক
১.
ব্রিটিশ আমলের গোড়ার দিকে মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যম ছিলো উর্দু, কারণ তখন হাদীস, ফিকাহ, তাফসির প্রভৃতি প্রধানত উর্দু ভাষায় লেখা হতো। পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ববাংলার শহর ও গ্রাম-গঞ্জে উর্দু ভাষা প্রসারের প্রধান কারণ ছিলো মাদ্রাসার এ ধর্মীয় শিক্ষা। বাংলাদেশের মুসলিম অভিজাত শ্রেণির প্রায় সবাই উর্দু বলতে সক্ষম ছিলেন।
২.
আরেকটি ব্যাপার দেখুন। বাঙ্গালা ভাষা (আজকের বাংলাটা না। যে বাংলাটাকে হত্যা করেছে বৃটিশ-ব্রাহ্মণ সিন্ডিকেট) এবং উর্দু ভাষা ছিল অত্যন্ত কাছাকাছি। উভয়েরই মা প্রাকৃত ভাষা, দুধমা আরবি-ফার্সি-তুর্কি। উভয়েই পার্সো-এরাবিক বর্ণমালা গ্রহণ করেছিল। [পার্সোএরাবিকে বাংলা লেখার ইতিহাস ৭০০ বছর পুরনো] সুতরাং গণমানুষের মুখের ভাষা বাঙ্গালা এবং উর্দু বেশ কাছাকাছি ছিল, পারস্পরিক বোধগম্যতা ছিল। বাংলাভাষীরা উর্দু বুঝতেন।
যার দরুন আঠারো শতকে ঢাকা চাল ব্যবসায়ের প্রধান কেন্দ্র ছিলো এবং ব্যবসায়ীরা ছিলেন মাড়োয়াড়ি। তাঁরা বাংলাভাষী চাল বিক্রেতাদের সঙ্গে হিন্দুস্থানি বা রিখতা ভাষায় কথা বলতেন।
৩.
সুলতানি ও মোগল আমলের হাজার হাজার অবাঙালি সেনাদের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা ছিল উর্দু। এদেশীয়দের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল উর্দু। যারা বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে রয়ে গেছে। বিয়েশাদী করে থিতু হয়েছে। তাদের রক্তও আমাদের শরীরে বহমান। সুলতানী আমলে বাঙ্গালাহ অঞ্চল, বাঙ্গালাহ জাতিসত্তার মাঝে বহিরাগত মুসলিমরাও শামিল। আমরা শুধু অনার্য দ্রাবিড় নই, শুধু হিন্দু-কনভার্ট নই। হিন্দু-অহিন্দু অনার্য সাথে বৌদ্ধ ও বহিরাগত মুসলিম মিলিতভাবে বাঙ্গালা জাতি। সে হিসেবে বাংলা ভাষার সাথে সাথে হিন্দুস্তানি ভাষা মানে উর্দু ভাষাও আমাদের এই বৃহত্তর বাঙ্গালা সংস্কৃতির অংশ। আমাদের অনেকের পূর্বপুরুষের ভাষা। বিশেষত ‘ঢাকাইয়া উর্দু’ তো সরাসরি বাংলাদেশী ভাষা, যেমন সিলেটী বা চাঁটগাইয়া ভাষা।
৪.
উর্দু সাহিত্যের চর্চা ও বিকাশের ক্ষেত্রে দিল্লি, লখনৌ ও লাহোর কেন্দ্রের ন্যায় এক সময় বাংলার কলকাতা ও ঢাকা কেন্দ্রও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষাদীক্ষায় উন্নত অঞ্চল হিসেবে। উর্দু ভাষার মতো উর্দু সাহিত্যও তার উৎসভূমি দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ক্রমে উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রসার লাভ করে।
৫.
তাছাড়া সরকারি ও বেসরকারি সভা ও কোর্ট-কাচারিতে হিন্দুস্থানির ব্যবহার প্রচলিত ছিলো। দাপ্তরিক ভাষা ফার্সি হলেও সাধারণ মানুষ ফার্সি বুঝতো না। সামরিক-বেসামরিক দপ্তর ও সাধারণ মানুষের যোগাযোগ হতো হিন্দুস্তানি বা উর্দুর মাধ্যমে। মুসলিম আমলে ফারসি দাপ্তরিক বা আদালতের ভাষা হলে ও সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা (Lingua Franca) ছিল হিন্দুস্তানি (ব্রিটানিকা)।
ফার্সির দাপট কমাতে ও সাংস্কৃতিকভাবে মুসলিমদের পরাজিত করতে ১৮৩৭ সালে বিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিভিন্ন প্রদেশে ফারসির বদলে স্থানীয় ভাষার ব্যবহার শুরু করে। ফার্সিকে রিপ্লেস করতে তারা ১৮৫০ সালে ইংরেজি ও উর্দুকে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃত দেয়া হয়।
স্কুল, দপ্তর, আদালত, সরকারি প্রতিষ্ঠানে হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সবার যোগাযোগের মাধ্যমে ছিল উর্দু। ১৮৬৪ সালে উর্দু ইন্ডিয়ান আর্মির ভাষা হিসেবে নির্ধারিত হয় [২]। তরুণ বৃটিশ অফিসারদের উর্দু/হিন্দুস্তানি ভাষা শিক্ষার উপর জোর দেয়া হত।
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে হিন্দুস্তানি ভাষার উপর আলাদা বিভাগ ছিল। কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে উর্দু ভাষাতত্ত্ব, ধ্বনিবিজ্ঞান ও শব্দতত্ত্ব নিয়ে প্রথম বিজ্ঞানভিত্তিক অধ্যয়ন শুরু হয়। ১৮৩৫ সালে দিল্লিতে উর্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরবর্তীকালে দিল্লি কলেজ নামে পরিচিতি পায়। এই কলেজের লেখাপড়ার মাধ্যম ছিল উর্দু। এ ছাড়াও ব্রিটিশদের পৃষ্ঠপোষকতায় উত্তর ভারতের লখনৌ, হায়দরাবাদ, গুজরাট প্রভৃতি অঞ্চলে উর্দু ভাষা ও সাহিত্যের অগ্রগতি সাধিত হয়। ইংরেজরা ভারতের মাটি থেকে ফার্সি ভাষাকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। এ জন্য উর্দুকে পৃষ্ঠপোষকতা করা তাদের পরিকল্পনার অংশ ছিল। [১]
উপর্যুক্ত ৫টি অবস্থা পর্যালোচনা থেকে বুঝা যায়, পূর্ববঙ্গের বাংলাভাষী মুসলিমদের শিক্ষাদীক্ষার মাধ্যম তথা শিক্ষিত মুসলিমদের ভাষা ছিল উর্দু। ব্যাপারটা এমন যেন, চট্টগ্রামের মানুষ নিজেদের মাঝে চাঁটগাইয়া ভাষায় কথা বলে, কিন্তু বাইরে বলে প্রমিত বাংলা, ঠিক এমন। নিজেদের মাঝে বাংলা বললেও একটু ফর্মাল পরিবেশে তাঁরা উর্দুতেই কথা বলতো। বাংলাদেশের মুসলিম অভিজাত শ্রেণির প্রায় সবাই উর্দু বলতে সক্ষম ছিলেন। গ্রামগঞ্জের লোকেও বুঝতো। আগেই বলা হয়েছে, প্রকৃত বাংলা আর উর্দুর মাঝে খুবই কম ফারাক ছিল। কেননা বাঙ্গলা বাক্যতত্ত্ব ফার্সির কাঠামোয়; আর প্রচুর আরবি-ফার্সি-হিন্দুস্তানি শব্দ তো কমন ছিলই। গ্রামের মক্তবে শিশুরাও উর্দু শিখতো।
উর্দু পাকিস্তানের ভাষা কিনা?
সম্প্রতি চণ্ডীগড়ের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া এক প্রস্তাব নিয়ে হুলুস্থূল পড়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে উর্দু বিভাগকে অন্য যে বিদেশি ভাষা বিভাগ (ফরাসি, রাশিয়ান, জার্মান, চিনা ও তিব্বতি)গুলি রয়েছে তার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হোক।
এ প্রস্তাবের ব্যাপক বিরোধিতা ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের মধ্যে থেকেই। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেন এবং বলেন, উর্দুও অন্য যে কোনও ভারতীয় ভাষার মতোই একান্ত ভারতীয়।
ভারতের সংবিধান অনুসারে এটি ভারতের অন্যতম সরকারি ভাষা। দেশের কারেন্সি নোটে যে ১৫টি ভাষায় মুদ্রার মান লেখা থাকে, উর্দু তার মধ্যে একটি। কাশ্মীর, তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গে উর্দু সরকারি ভাষা।
ভারতের প্রায় পঞ্চাশটি শহর এনং এলাকায় ব্যাপক মানুষ এ ভাষাতেই কথা বলেন, গোটা ভারতে এ ভাষায় কথা বলেন অন্তত ৩০ লাখ মানুষ।
উপসংহার
একটা জাতি হুট করে কোনো সাল থেকে শুরু হয় না। জাতির ইতিহাস সুদীর্ঘকালের। জাতিসত্তা তৈরি হয় নানান কালপর্বে, নানান সংস্কৃতির মিশেলে। প্রাকৃত আমাদের ভাষা, ফার্সিও আমাদেরই ভাষা, উর্দুও আমাদেরই ভাষা, বাংলাও আমাদের ভাষা। সব মিলেই পূর্ববঙ্গের মুসলিম বাঙলাভাষী জাতিসত্তা (যা পশ্চিমবঙ্গের রাঢ়ী-গৌড়ী জাতিসত্তা থেকে ভিন্ন)। নিজের ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতির সাথে দুশমনী চলে না। চেতনার নামে অন্ধ পাকিস্তানবিদ্বেষ, অন্ধ উর্দুবিদ্বেষ আজ কারও ক্ষমতা দখলের বয়ান।
অথচ মুক্তিযুদ্ধটাও পাকিস্তান রাষ্ট্র-জনগণ-ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে ছিলনা (পূর্বপাক বনাম সামরিক জান্তা ছিল)। আবার ভাষা আন্দোলনটাও উর্দুভাষার বিরুদ্ধে ছিল না (ছিল বাংলাকে প্রাদেশিক ভাষা থেকে সহরাষ্ট্রভাষা করার জন্য)। পাঠ্যপুস্তকে শেখা এসব অবাস্তব ইতিহাস কবে শুদ্ধ হবে কে জানে।
রেফারেন্স:
[১] ২ ফেব্রু ২০২০, রাজনৈতিক ও জাতিগত বিভাজনের ভাষা উর্দু, সমকাল
[২] King D. Robert (2001), The poisonous potency of script: Hindi and Urdu.
[৩] Tapas Das (October 7, 2019), বিশ্লেষণ: উর্দু কেন ভারতীয় ভাষা? The Indian Express বাংলা।