লজিক্যাল ফ্যালাসি: a dicto simpliciter ad dictum secundum quid.
- জেনেটিক ও হরমোনভিত্তিক, এটা দিয়ে সমকামিতা ১%ও ব্যাখ্যা করা যায় না।
- সমকামিতা যতখানি জেনেটিক, রেইপ-সিরিয়াল কিলিং-এলকোহলিজম তার চেয়ে বেশি জেনেটিক।
- তৃতীয় লিঙ্গ ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়।
- সমকামিতা প্রাকৃতিক নয়। প্রকৃতিতে কোনো জানোয়ারের মাঝে থাকা মানেই স্বাভাবিক নয়। –
- সমকামিতা কোনো মানসিক রোগও নয়।
- সমকামিতা কেউ নিয়ে জন্মায় না, এটা পরিবেশের দরুন হয়। আবার পরিবেশের দরুনই ঠিক করা যায়, যদি নিজের ইচ্ছা থাকে।
- সমকামিতা একটা প্রচণ্ড ক্ষতিকর ‘লাইফস্টাইল’, যা সামষ্টিকভাবে অনেক যৌনরোগের প্রকোপ বাড়ায়। সমকামী নিজের, পার্টনারের, সমাজের, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর।
আপনি যখন পুরোটা প্রমাণ করে আসবেন। এরপর তারা দারুণ এক তর্ক উপস্থাপন করবে। তারা বলবে—ঠিক আছে মানলাম, সমকামিতা একটা ক্ষতিকর লাইফস্টাইল। একই ক্ষতিগুলো তো নর্মাল সেক্সের ক্ষেত্রেও কমবেশি আছে। তাহলে নর্মাল সেক্সের চেয়ে নো-সেক্স তো আরও ভালো। তাহলে হেটেরোসেক্স এবং নো সেক্স কোন লাইফস্টাইল বেশি ভাল? তাদের কথা হল:
- যদি হেটেরো সেক্স তথা সম্পূর্ণ সেক্স বন্ধ করা যায় তাহলে যৌনরোগ হওয়ার সম্ভাবনা শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। তেমনি যৌন রোগ সম্পূর্ণ নির্মূলের সবচেয়ে সফল উপায় সম্পূর্ণ যৌনসম্পর্ক বন্ধ করা। তথা হেটেরোসেক্স বন্ধ, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম।
- হেটেরোসেক্সের সবচেয়ে আলোচিত সামাজিক সমস্যা হল ধর্ষন। বিয়ে সংক্রান্ত বিশাল অর্থনৈতিক চাপ এবং হেটেরোসেক্স এর মাধ্যমে সংঘটিত নারী ধর্ষন সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব, যদি হেটেরোসেক্স বন্ধ করা যায়।
- হেটেরো সেক্সের অন্যতম বড় সমস্যা প্রেগন্যান্সি। ক্ষেত্র বিশেষে অবিবাহিত মেয়েদের জন্য ইহা এক বিশাল সামাজিক নিরাপত্তা সমস্যা। যদি হেটেরোসেক্স বন্ধ করা যায় তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগন্যান্সি সম্পূর্ণ বন্ধ করা যাবে (অনেক অবিবাহিত মেয়ের আত্মহত্যা বন্ধ করা যাবে), তাছাড়া যেসব স্বামী স্ত্রী অর্থনৈতিক কষ্ট তথা দরিদ্র, সেক্সবর্জিত জীবন তাদের অনেক অর্থ কষ্ট কমাবে।
- মাতৃমৃত্যুর একটা বড় কারন প্রেগন্যান্সি। যদি হেটেরোসেক্স বন্ধ করা যায় তাহলে প্রেগন্যান্সির কোন ঝামেলা থাকে না, ফলে মাতৃমৃত্যু শতভাগ নির্মূল সম্ভব।
- নারী স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কনট্রাসেপটিভ পিল কতটা ক্ষতিকর তার প্রায় সব নারী চিকিৎসক ই জানেন। সেক্ষেত্রে যদি হেটেরোসেক্স বন্ধ করা যায় তাহলে এই কনট্রাসেপটিভ পিল নামক অভিশাপ থেকে সব নারী রেহাই পাবে, মিসড পিরিয়ড এর টেনশন কি জিনিস তা অনেক নারীই জানেন।
- হত্যা, সন্ত্রাসের একটা বড় কারন হেটেরোসেক্স। বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যাকান্ড ঘটতই না যদি রিফাত মিন্নি এবং নয়ন বন্ড কে জন্ম থেকেই শিক্ষা দেয়া যেত যে, হেটেরোসেক্স সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। হেটেরোসেক্স নিষিদ্ধ হলে আজ হয়ত রিফাত এবং সন্ত্রাসী নয়ন বন্ড এখন জীবিত থাকত।
- হেটেরোসেক্স এর কারনে হতাশা, নারীদের প্রতি অবজেক্টিফিকেশন অনেক বেড়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য নারীদের প্রতি যৌন তথা হেটেরোসেক্সের চিন্তা ছাড়া সংগম অসম্ভব। এজন্য সকল হেটেরোসেক্সের চিন্তা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করতে পারলে নারীর প্রতি অবজেক্টিফিকেশন সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব।
- হেটেরোসেক্সের একটা বড় সমস্যা হল যৌতুক। হেটেরোসেক্স বন্ধ করা গেলে পুরুষরা বিবাহপ্রথাও বাতিল করত,যৌতুক সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হত, নো সেক্স, নো বিয়ে, নো যৌতুক।
- সম্পূর্ণ সন্ন্যাসব্রত ধারন করে নারী পুরুষ বিভেদ ভুলে সবাই মানুষ এই কনসেপ্ট ধারন করতে পারলে এবং হেটেরোসেক্স সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পারলে যেমন এ সংক্রান্ত সকল রোগব্যাধি নির্মূল হবে, তেমনি এ সংক্রান্ত অপরাধ নির্মূল হবে এবং পরিশেষে জনসংখ্যার বিষ্ফোরণ রোধ হবে। উপরের আলোচনা দিয়ে প্রমাণ হল, সমকামিতা যদি ক্ষতিকর লাইফস্টাইল হয়, তাহলে নরমাল সেক্সও ক্ষতিকর। (প্রমাণিত)
এই বিল্ডিং-এর নিচে গাড়ি পার্কিং নিষেধ। সুতরাং বিল্ডিং-এ আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পার্কিং-ও নিষেধ। কাউকে নামানোর জন্যও নিষেধ, ১ মাইল দূরে নামাবেন, সেখান থেকে হেঁটে আসবে। এই কুযুক্তির (লজিক্যাল ফ্যালাসি) একটা কেতাবি নাম আছে— a dicto simpliciter ad dictum secundum quid.
- এখানে গাড়ি পার্কিং নিষেধ (জেনারেল রুল)
- এখানে আগুন ধরলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পার্কিং-ও নিষেধ (ভুল যুক্তি)” কেননা আগুন নেভাতে গাড়ি ওখানে পার্ক করতেই হবে।
এবার মিলিয়ে নিন:
- সমকামিতা সামান্য কিছু মানুষের ব্যক্তিগত চয়েস (জেনেটিকও না, ফিজিওলজিক্যালও না, অসুখও না)। একটা রিস্কি লাইফস্টাইল যার বিরুদ্ধে কথা বলা হচ্ছে।
- সুতরাং আমাদের বিবাহ বা হেটেরোসেক্সের রিস্কের বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে (ভুল যুক্তি), কেননা এটা জেনেটিক, এটা ফিজিওলজিক্যাল এবং প্রজাতির ধারাবাহিকতার জন্য অবিকল্প, করতেই হবে। দ্বিতীয় কোনো অপশন নাই।
যত রিস্কই থাক, হেটেরোর বিরুদ্ধে কোনো কথাই যুক্তিসংগত নয়। ব্যাপারটা অনেকটা টাইম মেশিনে গিয়ে নিজের দাদাকে শিশুকালে মেরে ফেলার মতো। যেটা করলে নিজের অস্তিত্বই থাকে না। বেঁচে থাকাটাই মৃত্যুর প্রধান কারণ। দিনের ভেতর ৬ ঘণ্টা ঘুমানো বন্ধ করলে কত সময় বাঁচানো যায়। সিগারেট খেয়ে কত লোক মরে। ভাত, চিনি, লবণ খেয়েও কত লোক মরে। ঠিকই তো। কিছু প্রশ্ন-ই হয় না। যে প্রশ্নই হয় না, তার উত্তরও হয় না।
পশ্চিমা সভ্যতা আমাদের ফিতরাত (normal human mental processing) নষ্ট করে দিয়েছে। মানুষ স্বাভাবিক চিন্তা করতে ভুলে যাচ্ছে। ২+২=৪, এই স্বাভাবিক সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। নারী-পুরুষ সর্বসম ভাবা, জেন্ডার রোলকে অস্বীকার করা, শিশুর জন্য মায়ের শারীরিক এটাচমেন্টকে অস্বীকার করা, বায়োলজিক্যাল সেক্সকে অস্বীকার করা সেই নষ্ট ফিতরাতের প্রকাশ। নিচে আমার ইউটিউব চ্যানেলের একটা এলবামের লিংক আছে। দেখতে পারেন সমকামিতা-কেন্দ্রিক নানা প্রশ্নের উত্তর।
৬ টি ভিডিও আছে এই প্লে লিস্টে