যে মসজিদে তারাবিহ পড়ি সেখানে ৮-১৩ বছর বয়েসী গোটাদশেক ছেলে পুরো ২০ রাকাত পড়ে। আর ১৪-১৭ বছরের আরও জনাদশেক। ভাবলাম ২৭ রোজার দিন …
- যে যে পুরো খতম পড়েছে তাকে তাকে পুরস্কৃত করা যাক।
- আরেকটা ক্যাটাগরি হবে, যারা সূরা মুলক (৩০টা আয়াত) মুখস্ত করবে তারাও পুরস্কার পাবে।
- আরেকটা কুইজ হবে। সিলেক্টেড কিছু সুরার অনুবাদ পড়তে বলা হবে। তা থেকে কুইজ।
বদলির কারণে আর আয়োজন করা হল না।
মসজিদকে শিশু-কিশোরদের জন্য আনন্দদায়ী বানাতে হবে। আমরা মসজিদকে ভীতিকর বানিয়ে রেখেছি। মসজিদে গেলেই বুড়ো চাচারা খালি রাগ করে, কোনো শব্দ করা যায় না৷ শিশুর ফিতরাতের খেলাফ চুপ করে বসে থাকতে হয়। ইত্যাদি।
- সাপ্তাহিক কুইজ (দীনী ও সাধারণ জ্ঞান দুটোই)
- নাশিদ প্রতিযোগিতা
- রচনা প্রতিযোগিতা
- বক্তৃতা প্রতিযোগিতা
- বানান প্রতিযোগিতা
- হালকা খেলাধুলা
- তিলওয়াত কম্পিটিশন
- হাতের লেখা
- ছবি আঁকা (প্রাণী বাদে)
- বই রিভিউ প্রেজেন্টেশন
- সুরা-হাদিস মুখস্ত করা
<image>
ইত্যাদি হরেক প্রতিযোগিতা দিয়ে মসজিদের দিকে ওদের টেনে রাখা দরকার। পুরস্কার দেয়া হবে বয়সোপযোগী বই। স্কুল-কলেজে যা তা গিলছে। মসজিদের সাথে ভালোবাসা না হলে বিপদ। পুরস্কার বিতরণীর মওকায় দীনী আলাপও করা গেল। Montasir Mamun ভাই রীতিমত উদাহরণ তৈরি করেছেন। মসজিদ প্রেমী গ্রুপটায় এলাকার শিশুকিশোরদের নিয়ে তাঁর কর্মচাঞ্চল্যের নানা স্মৃতি দেখতে পাবেন। যা আমাদের কাজের জন্য রসদ যোগাবে।
মসজিদে মসজিদে শিক্ষিত যুবকেরা এমন পরিবেশ তৈরি করতে পারেন। পরের প্রজন্ম যেন আমাদের মতো বেদিশে না হয়। শুধু ওনারই না, বিভিন্ন এলাকায় যারা শিশুকিশোরদের নিয়ে কাজ করেন তারাও নিজ নিজ এক্টিভিটির ছবি-ভিডিও শেয়ার করছেন। আমরা মসজিদকে চিনেছি চতুষ্কোণ নীরবতা ঘর হিসেবে। আমাদের পরের প্রজন্মকে মসজিদের আসল পরিচয় জানাতে হবে। মসজিদের সাথে স্বতঃস্ফূর্ত আত্মার সম্পর্ক গড়ে দিতে হবে। লেগে পড়ি চলেন আজ থেকেই।