রসুনের কোয়া


ফেমিনিস্ট। মডার্নিস্ট। মডারেট রিডাকশনিস্ট। সেক্যুলার হিউম্যানিস্ট।
এদের সবার একটাই অবস্থান। মডার্নিটি/ মডার্নিজম। মডার্নিটি দর্শনের উপর ইসলামের মোড়ক লাগানো।

দেখবেন এরা সমস্বরে কথা বলে।

  • ভোগবাদ (হস্তমৈথুন, মিউজিক জায়েয ইত্যাদি)
  • ক্যারিয়ারিজম (আম্মা খাদিজা সিইও, আম্মা আয়িশা প্রফেসর)
  • ফ্রিমিক্সিং (friend is friend, সহশিক্ষা)
  • নারী স্বাধীনতা, নারী সমতা, নারীমুক্তির নারীবাদী বয়ান
  • ইউরোসেন্ট্রিজম (ইউরোপকে নৈতিক কিবলা বানানো)
  • ওরিয়েন্টালিজম (পূর্ব-কে পশ্চিমের চেয়ে ছোট ও হীন মনে করা)
  • সালাফ ও ক্ল্যাসিকাল আলিমদের ভিলেন বানানো
    ইসলামকে তাদের ‘প্রগতি’র বাধা বানানো
  • সালাফদের ব্যাখ্যা নেবে না, ‘এসেন্স’ নেবে। এরপর বর্তমানকে ঠিক ধরে নতুন ব্যাখ্যা, নতুন ইজতিহাদের কথা বলবে। এবং এদের ইজতেহাদের উসুল হল মডার্নিটি।

মডার্নিটি দর্শনের সকল ব্যাপারে এরা একমত। এদের শত্রু মুসলিমরা, যারা নবি-সাহাবিদের ইসলামে ফিরতে চায়। যারা ইউরোপকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়। তাহলে এরা কার পক্ষে? ইউরোপের পক্ষে। ইসলামের ওয়ার্ল্ডভিউয়ের চেয়ে কাফেরের ওয়ার্ল্ডভিউ এদের বেশি রুচি হয়।

প্রতিটি ফেমিনিস্ট, মডার্নিস্ট, মডারেট, হিউম্যানিস্ট জেনে না জেনে, বুঝে না বুঝে নব্য-উপনিবেশবাদ ও নব্য-সাম্রাজ্যবাদের দালাল।

এরা সিরাজউদ্দৌলার যুগে থাকলে হতো জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ।
বৃটিশ আমলে হতো নীরদ সি চৌধুরি, বঙ্কিম গং, খানবাহাদুর, রায়বাহাদুর, নাইট স্যার।
উসমানী খেলাফতে হতো ইয়ং তুর্ক
আর নবিজির যুগে থাকলে হতো…

কিছু স্ক্রীনশট যুক্ত করছি।