ডক্টর-ডাক্তার প্রসঙ্গ


Doctor শব্দের উৎপত্তি ল্যাটিন docere থেকে। এর মানে to teach. ল্যাটিন ভাষায় ডক্টর মানে টীচার। ফ্রেঞ্চে (doctour) ও প্রাচীন ইংরেজিতে গিয়ে অর্থ দাঁড়িয়েছে learned person, scholar (জ্ঞানী ব্যক্তি) বা religious teacher (Doctor of the church)।

১৫০০ সালের আগে দিয়ে scholar অর্থেই এর ব্যবহার ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী যা পাশ দিলে ঐ বিষয় পড়ানোর লাইসেন্স (license to teach, Latin: licentia docendi) দেয়া হতো।

(holder of the highest degree in a university, one who has passed all the degrees of a faculty and is thereby empowered to teach the subjects included in it)

১৩ শ শতকে প্রথম ইতালির University of Bologna ও University of Paris এ ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়া হয়। একই জিনিস ছিল মেডিসিনের ব্যাপারেও। ঐ লেভেলটা পাশ হলে রুগী দেখা ও মেডিসিন টীচিং এর অনুমতি পেত। তখন জ্ঞান মানেই ফিলোসফি। ফিলসোফির ভিতর ন্যাচারাল সায়েন্স, ধর্ম, আইন, গণিত সবকিছু। তাই ডিগ্রিটার নাম হল ডক্টর অব ফিলোসফি (PhD)।

একসময় কোয়াকরাও ডক্টর ব্যবহার করতে থাকে। কোয়াক চিকিৎসক, কোয়াক আইনজীবী। তাদের থেকে নিজেদের পৃথক করতে আসল ডক্টরেটরা নামের শেষে ডিডি (Doctor of divinity), এমডি (Doctor of medicine), এলডি/জেডি (Doctor of Law/ Juris Doctor) ব্যবহার করতে থাকে।

আমার জানামতে, আমেরিকাতে ডক্টর লেভেলটা সকল সাবজেক্টে স্ট্যান্ডার্ডাইজড। আট বছর পড়ার পর এমডি (Doctor of Medicine) হিসেবে রুগী দেখার লাইসেন্স মেলে।

কিন্তু বৃটিশ অধীনস্ত সাম্রাজ্যে সেসময় নীচের ডাক্তারদের বলা হতো Leech. সেসময় তারাও নিজেদের Doctor পরিচয় দিতে থাকে। মানুষের মুখে মুখে স্বাস্থ্যসেবাদাতা সবাইকেই ‘ডক্টর’ বলা হতে থাকে। যা আজকে আমরা পাই। একটা সময় রয়েল কলেজ থেকে আইন করে কোয়াকের বিরুদ্ধে। বলা হয় শুধু মেডিকেল গ্রাজুয়েটরা ডক্টর ব্যবহার করবে। এভাবে সব সাবজেক্টে সমান ডক্টরেট আলাদা হয়ে গেল (uneqal)। অন্য সাবজেক্টে ঠিক রইল। মেডিসিনের ক্ষেত্রে নেমে এল গ্রাজুয়েশনে।

এই হল একাডেমিক সর্বোচ্চ ডিগ্রী ডক্টর আর মেডিকেল গ্রাজুয়েটদের ডক্টর ব্যবহারের কাহিনী।