আমি হুসাইনের লোক


“আমার সাহাবীরা নক্ষত্রের ন্যায়। যে কেউ কোনো একজনকে অনুসরন করবে, হেদায়াত পেয়ে যাবে”

সকল সাহাবীই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানান ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। কেউ নৈতিকতা, কেউ ব্যক্তি-ব্যবস্থাপনায়, কেউ আধ্যাত্মিকতায়, কেউ প্রশাসনে, কেউ লেনদেন-অর্থব্যবস্থায় কিয়ামত তক প্রাসঙ্গিক থাকবেন। যে কোনো পরিস্থিতিতে মানবজাতি তাঁদের সিদ্ধান্তের উপর মুখাপেক্ষী থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত।

গত ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে উম্মাহ রাজনৈতিক সমস্যায় ভুগছে। রাজনৈতিক হতাশা। তাতারী আগ্রাসনের পর এমন একটা সময় অতিবাহিত হয়েছিল। ৩/৪ প্রজন্ম ধরে উম্মাহ রাজনৈতিকভাবে হতাশ ছিল, পথ খুঁজে পাচ্ছিল না। শত্রুদেরকে হিদায়াত দিয়ে আল্লাহ আবার মুসলিমদের চক্ষু শীতল করেছেন। ইসলাম আবার ভূরাজনৈতিক বিজয় অর্জন করেছিলো। এখন আবার সেই সময়টা যাচ্ছে। গত ৪/৫ প্রজন্ম ধরে আমরা হতাশায় ভুগছি। ২০০ বছর উপনিবেশ শেষে ক্রুসেডাররা নব্য-উপনিবেশবাদ কায়েম করেছে। মুসলিমদের উপর দালালদের নিয়োগ দিয়েছে,যারা মুসলিম ও ইসলামের ওপর জুলুম কায়েম করেছে। তাকিয়ে দেখুন মরক্কো থেকে মিসর… সৌদি থেকে আরাকান… বসনিয়া থেকে কাশগড়। আরবি নামধারী জালিমের আগ্রাসন। ক্রুসেডারদের মুসলিম দালাল জালিম। এমন রাজনৈতিক ধোঁয়াশায় কোন সাহাবী এখন প্রাসঙ্গিক?

হুসাইন রা.। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বা নাজাতপ্রাপ্ত দলের আকীদা হল: হুসাইন রা. হক… ইয়াজিদ বাতিল। এটাই আমাদের আকীদা। যখন ইস্যুটা ধোঁয়াশাপূর্ণ, যখন ইস্যুটা কাফের-মুসলিম না, বরং জালিম-মজলুম। তখন হুসাইন রা. আমাদের আদর্শ। হক পেতে চাইলে হুসাইনী চেতনা ধারণ করুন। ইমাম হুসাইন রা. কে চর্চা করুন। হুসাইন রা. কে শিয়াদের দিয়ে দিয়েন না। উনি আমাদের। আমাদের চেতনার মশাল, আমাদের বর্তমান আঁধারের দিশা… ইমাম হুসাইন বিন আলী রা.।

  • নিজেদের মধ্যে মতভেদে আমাদের আদর্শ: ইমাম হাসান রা.
  • মুসলিমদের মধ্যে জালেম-মজলুম ইস্যুতে আমাদের আদর্শ: ইমাম হুসাইন রা.
  • ইসলামী সভ্যতা গঠনে তরুণদের জন্য আদর্শ: জান্নাতে তরুণদের সর্দার হাসান-হুসাইন রা.
  • ইসলামী সভ্যতা মুসলিম নারীর আদর্শ: জান্নাতে নারীদের সর্দার ফাতিমা রা. (হাসান-হুসাইনদের বানানোর কারিগর, আলী রা. কে ঘরের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থেকে সভ্যতা গঠনে আত্মনিয়োগ করার সুযোগদাত্রী)

কেন ওঁরা জান্নাতের সর্দার? শুধু পবিত্র ব্লাডলাইন। নাকি আমল, কাজ, উদাহরণ? এই তিন জন অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে এখন বেশি প্রাসঙ্গিক। এই তিন জনকে এখন অন্য যে কারও চেয়ে বেশি চর্চার প্রয়োজন।

, ,

Leave a Reply