সমকামিতার বাকি অধ্যায়


মূলত ডাক্তারদের গ্রুপে দেয়ার জন্য লেখা। তাই সম্বোধন ডাক্তাররা। তবে সবার জন্যই ইম্পর্টেন্ট।

ভূমিকা

সমকামিতা নিয়ে বিগত পোস্টটা শুধুমাত্র পায়ুমিলনের দিকটা কাভার করেছে, যা সমকামীদের মাঝেই না, বিষমকামীদের মাঝেও প্রচলিত। এবং সমকামিতা মানে শুধুমাত্র পায়ুমিলন না, এটা আমি প্রথম প্যারাতেই স্বীকার করেছিলাম। এবার সমকামিতার বাকি এস্পেক্টগুলোতে কিছুটা আলোকপাত করারা চেষ্টা করব। চেষ্টা করেছি চিকিৎসকদের গবেষণার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকার। এমনিতেই অন্যান্য গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি আর চিকিৎসকের দৃষ্টিভঙ্গির মাঝে বহু ফারাক, কেননা একটা সিনারিও বানিয়ে একটা গ্রুপের উপর গবেষণা আর বাস্তব কেসের পর কেস হ্যান্ডেল করা ভিন্ন বিষয়। রিস্ক ফ্যাক্টর আসলে কতটা রিস্কি, তা ধরা পড়ে ডাক্তারদের কাছে আগে এবং স্পষ্টভাবে। বিংশ শতাব্দীতে যৌনবিজ্ঞানে বা মানুষের যৌনবোধে যে বিপ্লব, তা মূলত মনোবিজ্ঞানীদের হাত ধরে। অথচ যৌনতা শুধুমাত্র মনের বিষয় নয়, এর সাথে মন-দেহ-রোগতত্ত্ব অনেককিছু জড়িত। আমাদের ডাক্তারদের এই বিষয়টা বুঝতে হবে রোগীর স্বার্থে। আমাদের অংশটুকু (রোগতত্ত্ব) নিয়ে আমাদের ছাড় দেয়া মানে রোগীর সাথে অসততার মতো। আলোচনাটা আমরা ডাক্তারের ভাষায় করব; কোনো সমাজকর্মী, মনোবিজ্ঞানী, দার্শনিকের ভাষায় না। মন্তব্যও ডাক্তারের ভাষায় আশা করছি।

১. গে-কনটাক্ট

১৯৭৯ সালে The Gay Report বইয়ে একটা জরিপ উল্লেখ করা হয়, তার আগে উল্লেখ্য বইয়ের লেখক দু’জনই সমকামী। সেখানে গে-দের যৌন আচরণের বৈচিত্র্য এমনটা উঠে আসে [1]

  • ওরালসেক্স ৯৯%
  • পায়ুমিলন ৯১%
  • পায়ুলেহন (Rimming/analingus) ৮২%
  • পায়ুতে আঙ্গুল চালনা ২২%
  • সঙ্গীর গায়ে প্রস্রাব করা (golden shower) ২৩%
  • সঙ্গীর গায়ে পায়খানা করা (scat) ৪%

কেম্ব্রিজের Addenbrooke’s Hospital-এর Department of Genitourinary Medicine-এর Dr Sarah Edwards এবং Dr Chris Carne-এর একটা রিভিউ পেপার BMJ পরিচালিত জার্নাল Sexually transmitted Infections-এ ছাপা হয় ১৯৯৭ সালে। এই পেপারটা আমরা গুরুত্বসহকারে নেব, কেননা এটা দুই যুগের সন্ধিক্ষণের একটা রিভিউ। তারা লেখেন, সমকামীদের ভিতরে HIV epidemic-এর কারণে পায়ুমিলন হ্রাস পেয়েছে, বর্তমানে সমকাম বলতে পায়ু-প্রবেশনের চেয়ে মুখমৈথুনই বেশি প্রচলিত। ঠিক তাই, ১৯৭৯ সালে যেখানে ৯১%-ই পায়ুগমন করত, ২০১৭ সালে তা নেমে এসেছে অর্ধেকে। ২০১৭ সালে EMIS-2017 (The European Men-Who-Have-Sex-With-Men Internet Survey) এর রিপোর্টে ১,২৭,৭৯২ জনের উপর জরিপ হয়। লাস্ট সেক্সে তারা কী কী করেছে, এই প্রশ্নের উত্তরে নিচের স্ট্যাট পাওয়া যায় (ছবি-১)[2]

  • ওরালসেক্স: passive 80% – active 76%
  • পরস্পর হস্তমৈথুন: 71%
  • পায়ুমিলন: passive 45% – active 39%
  • পায়ুচোষণ (oro-anal sex): passive 35% – active 31%
১.১ ওরাল সেক্স (oro-genital contact)

ওরালসেক্স গে/লেসবিয়ান-দের প্রধানতম প্র্যাক্টিস, এবং হেটেরো-দের মাঝেও বহুল প্রচলিত। যেহেতু ওরাল সেক্স হোমো-হেটেরো সবার মাঝেই প্রিডোমিনেন্ট যৌন-আচরণে পরিণত হয়েছে, Dr Sarah Edwards জানাচ্ছেন: , Dr Sarah Edwards জানাচ্ছেন: Oral sex has therefore become a relatively more important route for the transmission of sexually transmitted infections (STIs). তো চলুন দেখা যাক ওরাল সেক্স- থেকে কী অসুখগুলো হয় [3] (oral STD)—

১.১.১ HIV

বীর্যে ও যোনিরসে HIV ভাইরাস থাকে, লালাতেও থাকে তবে কম পরিমাণে। পায়ুমিলন ও যোনিমিলনের চেয়ে রিস্ক কমে এই দিক দিয়ে যে— লালার উপাদান কিছু ভাইরাসকে ইন্যাক্টিভেট করে দিতে পারে, ওরাল মিউকোসায় ভাইরাস রিসেপ্টর কম থাকে। কিন্তু ওরাল সেক্সের ফলে যে microscopic physical trauma হয়, তা আবার ইনফেকশনের রিস্ক বাড়ায়[4] আবার কোনো sores, cuts, abrasions, or bleeding gum disease (gingivitis, periodontitis) বা dental caries থাকলে তা খুব ভালো এন্ট্রি পয়েন্ট হতে পারে, [5] বলে জানাচ্ছে ভারতীয় ডেন্টিস্টরা।

AIDs patient dying of TB in tropical AIDs hospice near Chumphon, southern Thailand.

আমেরিকায় AIDS-এর মহামারির শুরুর দিকে একে বলা হত GRID (gay-related immunodeficiency), পায়ুমিলনের মাধ্যমেই কেবল ছড়ায় এমন ধারণা করা হতো [6]। বিভিন্ন স্টাডিতে এসেছিল, ৬ এর অধিক সঙ্গীর লিঙ্গ পায়ুতে গেছে মানেই AIDS নিশ্চিত (virtual certainty)। স্টাডিগুলো সিদ্ধান্ত দিল, ওরালসেক্স বেশ নিরাপদ। এরপর থেকে ট্রেন্ড বদলে গেল, ওরাল সেক্সের দ্বারা ট্রান্সমিশন বেড়ে গেল (both with and without ejaculation)। এরপরের স্টাডির ফলাফলগুলো এমন—

  • Schacker et al গে এইডস রুগীদের ৪৬ জনের মাঝে ৪ হল পেয়েছেন, যারা কেবলমাত্র ওরালসেক্সই করত।
  • আমস্টার্ডামে ১০২ জন গে এইডস রুগীর মাঝে ১১ জন শুধুমাত্র ওরালসেক্স করত।
  • নেদারল্যান্ডে আরেকটা রিসার্চে ৭৪১ জন গে এইডস রুগীর মাঝে গবেষণায় তারা সিদ্ধান্ত দিয়েছে: oro-genital contact alone was a risk for HIV acquisition.
  • hepatitis B-এর উপর স্টাডি করতে গিয়ে Darrow et al পেয়েছেন: oro-genital and oro-anal contact দুটোতেই এইডস ছড়ানোর রিস্ক তুলনামূলক বেশিই, কম না।
  • Padian et al দেখিয়েছেন, HIV ছড়ানোর রিস্ক ওরাল না ভ্যাজাইনাল এর উপর নির্ভরশীল না, কতবার করা হচ্ছে তার উপর বেশি নির্ভরশীল।

সুতরাং, ওরাল সেক্স যে নিরাপদ, একথা বলা যায় না।

১.১.২ Herpes (Type 1)

জেনিটাল হার্পিস Type 2 দিয়ে বেশি হয়। কিন্তু ৯০-এর দশক থেকে Type 1-এর ইনফেকশন বাড়ছে। একাধিক স্টাডি দেখিয়েছে, জেনিটাল হার্পিসের সাথে ফ্যারিঞ্জাইটিসের উপস্থিতি। তারা বলছে, ওরাল সেক্স একটা predisposing factor. Cornell University-র Department of Healthcare Policy and Research-এর বিজ্ঞানীদের গবেষণায়—[7]

  • মুখ থেকে মুখে ছড়ানোর চান্স ৯৯.৬%
  • মুখ থেকে যৌনাঙ্গে ছড়ানোর চান্স ৯১.৭%
  • যৌনাঙ্গ থেকে মুখে ছড়ানোর চান্স ০.৫%
  • যৌনাঙ্গ থেকে যৌনাঙ্গে ছড়ানোর চান্স ৮.৩%
১.১.৩ Chlamydia

US-এর মত দেশে প্রতিবছর ২৮ লাখ এতে আক্রান্ত হয়, যাদের লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। চিকিৎসা হলে সহজেই সেরে যায়। কিন্তু American Sexual Health Association জানাচ্ছে: If chlamydia isn’t diagnosed and left untreated, it can cause serious complications. লক্ষণ প্রকাশ না পেয়ে চিকিৎসা না হলে, সিরিয়াল জটিলতা হতে পারে।[8] যেমন:

পুরুষের…

  • Prostatitis (inflammation of the prostate gland)
  • Scarring of the urethra
  • Infertility
  • Epididymitis

নারীদের…

  • Pelvic inflammatory disease (PID)
  • Cystitis (inflammation of the urinary bladder)
  • mucopurulent cervicitis

মজার ব্যাপার হল, ৭৫% নারী ও ৫০% পুরুষে লক্ষণই প্রকাশ পায় না [9]। বিশেষ করে, oral chlamydia তো বেশিরভাগই লক্ষণবিহীন। ফলে ঠিক যা হবার তাই হয়েছে। CDC জানাচ্ছে, আমেরিকায় প্রতিবছর ৩০ লাখ Chlamydia-ইনফেক্টেড রুগী রেজিস্ট্রি হয়।

২০১৪ সালে আমেরিকায় Chlamydia রুগী ধরা পড়েছিল ১৪ লাখ। তার বেশিরভাগই নারী (৭০%)। কিন্তু ঠিক আগের বছরের চেয়ে পুরুষ রুগী বেড়েছে ৬.৮%। [A]

১.১.৪ Gonorrhea

গলার গনোরিয়া সারানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে গে-দের গলার গনোরিয়ার সম্ভাবনা বেশি। গে-যৌনরোগীদের ৯.৮%-এর মলদ্বারে গনোরিয়া, ৯.২%-এর গলায় গনোরিয়া এবং ৮.২%-এর মলদ্বারে ক্ল্যামাইডিয়া থাকার সম্ভাবনা থাকে। [10]

২০১৪ সালে আমেরিকায় ৩,৫০,০০০ গনোরিয়া রুগী ধরা পড়েছে। যা ২০১০ এর চেয়ে ১০% বেড়েছে, আর আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে ৫%। পুরুষে গনোরিয়া বেশি মেয়েদের চেয়ে। ২০১০ এর তুলনায় ২০১৪-তে পুরুষ গনোরিয়া ‍রুগী বেড়েছে ২৭%!! [B] কেন বাড়ছে এভাবে পুরুষ ক্ল্যামাইডিয়া ও গনোরিয়া রুগী? [A+B]

CDC-র এবং Denver Public Health Department-এর কনসালট্যান্ট Cornelis A. Rietmeijer, MD, PhD-এর দুটো রিসার্চে বলা হয়েছে, এর কারণ হতে পারে গে (MSM) পুরুষদের মাঝে বেশি ধরা পড়ছে। [The rising number of new chlamydia and gonorrhea cases among men is likely due to increased diagnoses among gay, bisexual, and other men who have sex with men (MSM)]

আমেরিকার Brown University-র মেডিসিনের এসোসিয়েট প্রোফেসর Dr. Philip A. Chan, MD, MS তার রিভিউ আর্টিকেলে [11] বলছেন, ৫৩টা স্টাডি হয়েছে গে-দের এই দুটা অসুখ নিয়ে। নারীদের তুলনায় গে-পুরুষদের পায়ু ও মুখে এই দুটো রোগের হার অনেক বেশি (MSM experience high rates of both extragenital gonorrhea and chlamydia)।

সিয়াটলে একটা STD ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা ৩০৩৪ জন গে-পুরুষের ৫৭%-এরই লিঙ্গ ছাড়া অন্য স্থানে অসুখ (Fiftyseven percent of cases were found in only extragenital sites)।

৪২টা STD ক্লিনিকের ২১৯৯৪ জন গে-র ডাটা বিশ্লেষণ করে CDC জানিয়েছে, যদি শুধু লিঙ্গ পরীক্ষা করে ছেড়ে দেয়া হত, তাহলে ৭০% ইনফেকশনই ধরা পড়তো না। ৭টা রিসার্চের ফল, গে-দের ২০-৮৫% যৌনবাহিত ইনফেকশনই হয় লিঙ্গ ছাড়া অন্যান্য জায়গায়। আর এগুলোর ২৫-১০০%ই লক্ষণ প্রকাশ করেনি, যা রোগতাত্ত্বিকভাবে আরও ভয়াবহ। তারা জীবাণুর ভাণ্ডার (reservoir) হিসেবে কাজ করছে. এবং ছড়িয়ে চলেছে। Symptom-based screening করলে ৬০% ইনফেকশন ধরাই পড়বে না।

স্যরি, ওরালসেক্স-কে কোনোভাবেই নিরাপদ বলা যাচ্ছে না, বিশেষ করে সমকামী এবং বহুগামী হেটেরো-দের ক্ষেত্রেও।

১.১.৫ Molluscum Contagiosum

মূলত যৌনাঙ্গে হলেও গে-পুরুষ এইডস রুগীদের মুখমণ্ডলে প্রায়শই পাওয়া যায়। যা লিঙ্গের ত্বক থেকে ওরাল সেক্সের মাধ্যমে ছড়ানোর প্রমাণ। [12]

১.১.৬ Syphilis

Chicago Department of Public Health (CDPH) ১৯৯৮-২০০০ এ একটা সমীক্ষা চালায় STD-এর উপর। সিফিলিসের রুগীর ১৫% ছিল গে। ২০০১-এ ৬০% সিফিলিস রুগী ছিল গে। তাদের কেউ কেউ একথাও বলেছে যে, তারা শুধু ওরাল করত। ডাটা রিচেক করে তারা জানালো, সিফিলিসের ১৩.৭% ই ওরালসেক্সের ফলে হয়, স্পেশালি গে-দের[13]

আমাদের উপমহাদেশে হিন্দু-মুসলিম সবাই একটা মিনিমাম অন্তর্গত বাধা কিন্তু অনুভব করত এবং এখনও করে ওরালসেক্সে। পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে আজ সেটাও নর্মালাইয করে ফেলা হয়েছে। মনে তো হচ্ছে সব‘ট্যাবুই খারাপ ছিল না’। অনেকে বলবেন, ওরাল সেক্সের রিস্কটুকু তো ভ্যাজাইনাল সেক্সেও আছে। জি, তা থাকতে পারে, কিন্তু প্রাচ্যের ঐতিহ্যবাহী বিবাহপ্রথা সেসব রিস্ককে বহুলাংশে কমিয়ে আনে ‘নিরাপদ যৌন আচরণের’ দ্বারা (একগামিতা), যা সমকামিতায় সম্ভব না। সমকামিতা এবং বহু যৌনসঙ্গী— ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

আর নর্মাল ভ্যাজাইনাল সেক্সে যতই রিস্ক থাক, ডারউইনীয় তত্ত্ব অনুসারেও এটা প্রো-ক্রিয়েটিভ কাজ (বংশরক্ষা), যা মানবজাতির জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয়। রিস্ক থাক বা না থাক, মানবজাতিকে এটা করে যেতেই হবে। কিন্তু সমকামিতা, ওরালসেক্স জীবতাত্ত্বিকভাবে প্রয়োজনীয় নয়, স্রেফ নিজের খেয়ালখুশি আর ফ্যান্টাসি পূরণ ছাড়া মানবসভ্যতায় এর কোনো অবদান নেই।

১.২ পায়ুলেহন (oro-anal contact)
১.২.১ Kaposi’s Sarcoma

human herpes virus 8 (HHV8) পাওয়া গেছে Kaposi’s sarcoma রুগীদের। এক স্টাডিতে গে-পুরুষদের পায়ুলেহনকে এর একটা রিস্ক ফ্যাক্টর বলা হয়েছে। [14]

১.২.২ Hepatitis A, B

গে পুরুষ ও যৌনকর্মীদের মাঝে Hepatitis B-এর আধিক্য বহু পুরনো কথা। লালা, বীর্য, পায়খানা— তিনটাতেই এন্টিজেন পাওয়া গেছে জানা গেছে। oro-anal contact একটা গুরুত্বপূর্ণ রিস্ক ফ্যাক্টর । পায়ু থেকে মুখে আসাটা— মল থেকেও হতে পারে, আবার asymptomatic rectal bleeding থেকেও হতে পারে, যা গে-দের মাঝে খুব কমন।[15]

আরেক স্টাডিতে বলা হয়েছে, ২৫ এর অধিক সঙ্গীকে ওরাল প্রদানকারীদের (Receptive oro-genital contact) সাথে hepatitis B infection-এর একটা সম্পর্ক রয়েছে[16]

আর Hepatitis A ছড়ানো তো খুবই স্বাভাবিক, যেহেতু এটা enteric pathogenenteric pathogen. পায়ুলেহনের ফলে ভাইরাস ছড়ানো তো ওয়ান-টুর ব্যাপার। [17]

২. লেসবিয়ান কন্টাক্ট:

লেসবিয়ানদের মাঝে প্রধান যৌন-আচরণ সিরিয়ালি [18]

  • ১. ওরাল-সেক্স
  • ২. অঙ্গুলি প্রবেশন
  • ৩. পরস্পর হস্তমৈথুন
২.১ HIV

female-to-female সেক্সে HIV ছড়ানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ। যার কারণে এইডস কেন্দ্রিক পরিষেবা ও সচেতনতা কার্যক্রম দীর্ঘ একটা সময় অব্দি শুধু গে-দের ভিতরে সীমাবদ্ধ ছিল। ১৫ বছর সচেতনতা চালানোর পর গিয়ে জানা গেছে যে, লেসবিয়ানদের ভিতরেও HIV ছড়াচ্ছে। Gay Men’s Health Crisis (GMHC) এর অধীনে Lesbian AIDS Project (LAP) এর ২০০৯ সালের রিভিউ থেকে বলছি। মূল কারণ হিসেবে যতটুকু জানা যাচ্ছে National AIDS Manual (NAM) এর বরাতে:

  1. সেক্স-টয় শেয়ার করা থেকে হতে পারে (Ghobrial, 2003)।
  2. মাসিক চলাকালে ওরাল সেক্স থেকে হতে পারে। তা ছাড়াও যোনিরস থেকেও ছড়াতে পারে। এগুলো আলোচনা হয়েছে আগেই।
  3. Fisting বা অঙ্গুলি চালনা থেকে সৃষ্ট ক্ষত (Farquhar et al., 2001)
২.২ Cancers

American Cancer Society-র সাইট থেকে। হেটেরো নারীদের চেয়ে সমকামী ও বাইসেক্সুয়াল নারীদের breast, cervical, and ovarian cancer-এর রিস্ক বেশি হবার সম্ভাবনা।

রিসার্চ জানাচ্ছে, কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর আগে থেকেই তাদের বেশি থাকে [19] (above-average prevalence rates of several risk factors for breast and gynecologic cancers)। ৭টা lesbian health survey-এর ডাটা এনালাইসিস করে জানিয়েছেন University of California-র এপিডেমিওলজিস্ট Susan D. Cochran.

তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি হবার কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, গর্ভধারণ না করা এবং স্তনপান করানোর সুযোগ না থাকা। আবার দেখা যাচ্ছে, বাইসেক্সুয়ালদের অনেকে ৩০-এর পরে গিয়ে সন্তান অবশ্য নিচ্ছেন। ৩০ এর পরে ১ম সন্তান হওয়াটাও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা বাড়ায়। এছাড়াও মুটিয়ে যাবার প্রবণতা বেশি, ধূমপানের হার বেশি, মোটা হয়েও নিজেকে মোটা মনে না করার প্রবণতা বেশি।

Institute of Medicine (IOM) একটি রিপোর্ট করেছে ‘Lesbian Health: Current Assessment and Directions for the Future’ নামে। সেখানে তারা বলছে, লেসবিয়ান নারীরা সাধারণ নারীদের তুলনায় এলকোহল ও ড্রাগ সেবন করে বেশি।

University College London-এর এপিডেমিওলজিস্ট Dr Catherine Mercer এর এক স্টাডি পাবলিশ হয় American Journal of Public Health-এ। কী-পয়েন্টগুলো উল্লেখ করছি: [20]

  • যেসব নারীরা আরেক নারীর সাথে যৌন-সংসর্গের কথা বলেছে, স্বাস্থ্যে তাদের বিরূপ প্রভাব পড়ার রিস্ক (adverse health outcomes) বেশি।
  • তাদের একাধিক পুরুষ যৌনসঙ্গী থাকার সম্ভাবনা বেশি (আগের লাইফে)
  • অনিরাপদ সেক্স-এর আচরণ বেশি
  • ধূমপান, এলকোহল, শিরায় ড্রাগ নেবার হার বেশি
  • যৌনবাহিত রোগ ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেশি।

City University of New York-এর ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট প্রোফেসর Margaret Rosario তাঁর স্টাডিতে বলেন, [21] নিজেদের যারা LGBT দাবি করে,

সেসব তরুণ-তরুণীদের মাঝে—

  • high risk sexual behaviors-এ অংশ নেওয়া
  • early age for sexual initiation
  • high numbers of sexual partners
  • exchanging sex for goods
  • unprotected sexual activity-তে লিপ্ত হতে দেখা যায় (been found) (Rosario, et al., 1999).

বিশেষ করে এসব তরুণীদের মাঝে—

  • sex with a risky partner
  • unprotected oral and vaginal sex
  • sex when drugs were used
  • sex during menstruation
বিশ্লেষণ:

এবার আমরা এসব ডেটা বিশ্লেষণে যাব। ইনডিভিজুয়াল পার্সেন্টেজ বাদ দেন। বার্ডস-আই-ভিউতে দেখেন। সমকামিতাকে একটা সামগ্রিকতা হিসেবে দেখেন। এটা এমন একটা লাইফস্টাইল, যা কতগুলো রিস্কি আচরণকে একসাথে করছে। কথার কথা, একজন লোক যদি ডায়বেটিস, ওবেসিটি, হাইপারটেনশন, সিডেন্টারি লাইফস্টাইল, স্মোকিং এতগুলো রিস্ক ফ্যাক্টর একসাথে নিয়ে আসে, তাহলে আপনার চোখে কী ধরা পড়বে? এভাবে চললে যেকোনো দিন তার ইশকেমিক এটাক হবে, তাই তো? তাকে কী বলবেন? লাইফস্টাইল মোডিফিকেশন। নাকি বলবেন, it’s your choice, it’s normal… তো সমকামিতা এমন একটা লাইফস্টাইল, যাতে ওরালসেক্স, পায়ুমৈথুন, পায়ুলেহন, সব রিস্কি যৌন-আচরণ একসাথে হয়সেই সাথে একাধিক পার্টনার তো তাদের ভিতরে এতো ব্যাপক যে চিন্তার বাইরে, যেখানে সেফ-সেক্স বলতে সিঙ্গেল পার্টনারকে আমরাই প্রোমোট করে থাকি। পশ্চিমা দেশে লিভ-টুগেদার কালচারে যে হেটেরোসেক্সুয়াল fragile family গঠিত হয়, তাদেরই ৬৫% ভেঙে যায়, তাহলে সেম-সেক্স কমিটমেন্ট তো সেখানে আরও দুর্বল ও ভঙ্গুর। সমকামিতা মানেই একাধিক যৌনসঙ্গী।

আমেরিকার Brown University-র মেডিসিনের এসোসিয়েট প্রোফেসর Dr. Philip A. Chan, MD, MS বলছেন, আমেরিকায় ৩৩ কোটি লোকের জন্য ফিবছর STD বাবদ ব্যয় ১৫.৯ বিলিয়ন। তাদের মাথাপিছু আয় ৬৩,৬৯০ ডলার। দেখেন, আমরা গরীব দেশ, আমাদের মাথাপিছু আয় ৪৫৭০ ডলার।

  • EMIS-2017 রিপোর্টে এসেছে ইউরোপের ১,২৭,৭৯২ জন গে-পুরুষের ৯৪% এন্টি-রেট্রোভাইরাল প্রোফাইল্যাক্সিস নিচ্ছে। গে, লেসবিয়ানদের জন্য আলাদা কেয়ার আলাদা ডিপার্টমেন্ট করার পরও বছরে ৩০-৪০ হাজার এইডস কেস সমকামীদের ভিতর থেকে।
  • safer sex-নামে ডেন্টাল ড্যাম (ওরাল সেক্সের জন্য), সেক্স টয়, লুব্রিকেন্ট দেদারসে ইউয করতে হয়।
  • এই লক্ষ লক্ষ সমকামীকে কন্টিনিউয়াস স্ক্রীনিং, প্রোফাইল্যাক্সিস করাতে হয়।
  • আমেরিকাতে একজন পুরুষকে নারী হতে গড়ে গুণতে হয় ১ লক্ষ ডলার। পেনসিলভ্যানিয়ার Philadelphia Center for Transgender Surgery তাদের খরচ জানিয়েছে: পুরুষ থেকে নারী হতে $140,450 এবং নারী থেকে পুরুষ হতে $124,400 মাত্র। [22]। লিঙ্গ সার্জারিতে লাগে ৩০,০০০ ডলার প্লাস। চেহারার সার্জারিতে লাগে ২৫,০০০-৬০,০০০ ডলার। স্তন সার্জারিতে লাগে ৫,০০০-১০,০০০ ডলার। [23]
  • ২০১৭ সালে শুধু পুরুষ-টু-নারী সার্জারির মার্কেট ছিল সাড়ে ১১ কোটি ডলারের। ২০১৬ সালে মোট এই সার্জারি হয়েছে ৩২৫০ টা, যা আগের বছরের চেয়ে ১৯% বেশি, মানে মার্কেট ক্রমেই বাড়ছে। ২০১৪ সালের মধ্যে এই মার্কেট গিয়ে দাঁড়াবে বছরে ৯৭ কোটি ডলারে। [24] শুধু সার্জারির কথা বললাম। বাকিটা জীবন তাকে হরমোন থেরাপি নিতে হয় যার খরচ বছরে ১৫০০ ডলার।

সমকামিতাকে প্রোমোট করা, জেন্ডার ডিসফোরিয়াকে উস্কে দেয়া, জেন্ডার আইডেনটিটির নামে বায়োলজিক্যাল সেক্স নিয়ে অতৃপ্তি জাগানো এগুলোর ‘গতিদিক’ লক্ষ্য করেছেন। অর্থনীতি নিয়ে যাদের ন্যূনতম পড়াশোনা যাদের আছে, তাদের বুঝতে একদমই কষ্ট হবার কথা না যে, এটা ১ম বিশ্বের আরেকটা পুঁজিবাদী এজেন্ডা। মিডিয়া তাদের হাতে, বিজ্ঞান তাদের হাতে। এগুলো ব্যবহার করে ৩য় বিশ্ব থেকে আরও মুনাফা লুটে নেবার একটা ‘কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি’ প্রকল্প। একটু উপর থেকে দেখেন। কত রুগী আমরা পাই যারা নিজের প্রেসারে ওষুধ কিনে খেতে পারে না, কিডনীর ওষুধ কিনে খেতে পারে না। সেখানে সমকামিতা প্রোমোট করা মানে পুরো জাতির উপর আরেকটা খরচের খাত বৃদ্ধি করা। প্রোটেকশন তো আমরা কাভার করতে পারবো না পশ্চিমের মত, উলটো যে হেলথ ক্রাইসিস তৈরি হবে, সেটা থেকে রক্ষা করার জন্য ডাক্তার হিসেবে কি কিছুই করার নেই আমাদের?

যখন সমকামিতা নর্মাল হয়ে যাবে, তখন আরও মানুষ জেন্ডার ডিসফোরিয়ায় ভুগবে। যাদের মনে দু’একবার উঁকি দিয়ে হারিয়ে যেতো, তারা চিন্তাটাকে লালন করবে, যারা ভিতরগত পাপবোধ ইত্যাদির কারণে ইগনোর করত, তারা এবার ফ্যান্টাসি করবে, যেহেতু নর্মাল বলে প্রচার করেছেন। যারা সমাজের ভয়ে হলেও এই রিস্কি প্র্যাক্টিস থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করত, তারাও আর কন্ট্রোল করবে না। ইসলামের নিষেধ ও হিন্দু-মুসলিম সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির দরুণ আমাদের পুরো দেশই যে এলকোহল থেকে বিরত, এটা অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যখাতের জন্য পজিটিভ। না হলে উন্নত বিশ্বের মত এই সেক্টরেও প্রচুর চিকিৎসা ব্যয় আমাদের মত গরীব দেশকে করতে হত। তো সেই ব্যারিয়ারটা উঠে গেলে এই গরীব মাতৃভূমির গরীব মানুষগুলোর জন্য কেমন হবে বলে আপনি একজন ‘দায়িত্বশীল স্বাস্থ্যকর্মকর্তা’ হিসেবে মনে করেন।

ডাক্তার কমিউনিটির প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা এই দেশকে বাঁচান। পশ্চিমা অর্থায়নে ১ম বিশ্ব পুঁজিবাদের যে নতুন ফ্রন্ট খুলতে চাচ্ছে সমকামিতাকে প্রোমোট করে, আপনারাই তাদের টার্গেট, আপনাদের মাধ্যমেই এই ফ্রন্ট খোলা হবে শোষণের। আপনারা না চাইলে হবে না। পুরো দেশের স্বাস্থ্যের দিকে তাকিয়ে এই অপচেষ্টাকে রুখে দিন।

স্বাভাবিক একটা জিনিসকে কেন রুখবেন?

আমরা ফরেনসিকে সবাই ‘unnatural sexual offence’ চ্যাপ্টারে সমকামিতা পড়েছি। কী করে সেই unnatural ন্যাচারাল হয়ে গেল, কী করে বিংশ শতকের মাঝে এসে রাতারাতি যৌনতার সংজ্ঞা বদলে গেল, সেই গল্প আরেকদিন, যদি আপনারা সুযোগ দেন। আজ শুধু এটুকু বলে শেষ করে দোব, যারা যৌনতার সব ধারণা উলটেপাল্টে দিয়েছেন তারা কারা। বিস্তারিত সামনের কোনোদিন। যৌনতার সব ধারণা ছিন্নভিন্ন হয়েছে আলফ্রেড কিনসির হাত ধরে, যিনি একজন জীবতাত্ত্বিক ও কীটতত্ত্ববিদ। এই কীটতত্ত্ববিদের দেয়া ‘কিনসি রিপোর্ট’-এর উপর আজ কমেন্টে যা যা দেখলেন, সব দাঁড়ানো। সমকামিতা স্বাভাবিক, ইত্যাদি সবকিছু। খুবই দুঃখজনক যখন একজন কীটতত্ত্ববিদের বানানো kinsey scale অনুসারে একজন ডাক্তার রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে চান, আবার তিনিই ফিজিওথেরাপিস্ট, স্যাকমো ইত্যাদি নন-ডাক্তারদের ডাক্তার হওয়া নিয়ে কনসার্নড।

sex ও gender-কে আলাদা করা, gender identity/ gender role/ sexual orientation— কমেন্টে আসা এই বহুল ব্যবহৃত টার্মগুলো তৈরি ও মেইনস্ট্রীমিং করার কৃতিত্ব ‘মনোবিজ্ঞানী’ John Money-র, যে মনোবিজ্ঞান আসলে ‘বিজ্ঞান’ কি না, তা নিয়ে পশ্চিমা একাডেমিয়ায় আজও বিতর্ক চলমান। অ-ডাক্তারদের দেয়া থিওরি ডাক্তাররা চিকিৎসায় ব্যবহার করছে, মনেপ্রাণে বিশ্বাস করছে, রোগীর স্বাস্থ্যকে ছেড়ে দিচ্ছে আর্টস (হিউম্যানিটিস) সাবজেক্টের উপর। খোদ পশ্চিমা একাডেমিয়াতে যাদের নিয়ে শক্ত বিতর্ক আছে, তাদের এইসব গবেষণার সততা নিয়ে, উপরের দু’জনের নিজেদের সমকামিতা নিয়ে। বিতর্কিত বিষয়কে ধ্রুবসত্য দাবি করা হচ্ছে এবং রুগীর উপর ইম্পোজ করা হচ্ছে। সেগুলো না মানলে ‘অবিজ্ঞানমনস্ক’ বলা হচ্ছে। … আরেকদিন হবে এসব তাত্ত্বিক কথা, যদি আপনারা চান।

হিন্দু হোন, মুসলিম হোন, আর অবিশ্বাসীই হোন, কমপক্ষে যৌনতার ক্ষেত্রে আপনারা ধর্মটাকে প্রোমোট করেন, আধুনিকতাকে না। ধর্মের ‘নিরাপদ যৌনতা’র কনসেপ্ট, আর কিছু না হোক, এই গরীব দেশটার লক্ষ লক্ষ বৈদেশিক ডলার বাঁচিয়ে দেবে STD বাবদ যা খর্চা হত। দেশের জন্য আপনারাই তো করবেন, আর কে করবে বলেন?

রেফারেন্স:

[1] Jay, K., Young, A., The Gay Report (New York: Summit Books, 1979)

[2] TECHNICAL REPORT, EMIS-2017 The European Men-Who-Have-Sex-With-Men Internet Survey, Key findings from 50 countries.

[3] Sex activities and risk [nhs.uk]
STD Risk and Oral Sex – CDC Fact Sheet

[4] Edwards S, Carne C. Oral sex and the transmission of viral STIs. S Tra Inf 1998;74:6-10.

[5] Saini R, Saini S, Sharma S. Oral sex, oral health and orogenital infections. J Glob Infect Dis. 2010;2(1):57-62.

[6] Lawrence K. Altman (1982), NEW HOMOSEXUAL DISORDER WORRIES HEALTH OFFICIALS, The New York Times

[7] Ayoub, H.H., Chemaitelly, H. & Abu-Raddad, L.J. Characterizing the transitioning epidemiology of herpes simplex virus type 1 in the USA: model-based predictions. BMC Med 17, 57 (2019).

[8] Chlamydia: Fast Facts, American Sexual Health Association.

[9] Centers for Disease Control and Prevention (CDC). Tracking the Hidden Epidemics: Trends in STDs in the United States, 2000. Atlanta, Ga.; Centers for Disease Control and Prevention; 2001:1-31.

[10] Barbee, Lindley A. MD, MPH; Effect of Nucleic Acid Amplification Testing on Detection of Extragenital Gonorrhea and Chlamydial Infections in Men Who Have Sex With Men Sexually Transmitted Disease Clinic Patients, Sexually Transmitted Diseases: March 2014 – Volume 41 – Issue 3 – p 168-172

[11] Philip A. Chan et al (2016), Extragenital Infections Caused by Chlamydia trachomatis and Neisseria gonorrhoeae: A Review of the Literature, Infectious Diseases in Obstetrics and Gynecology, Volume 2016, Article ID 5758387, 17 pages

[12] Schwartz JJ, Myskowski PL. Molluscum contagiosum in patients with human immunodeficiency virus infection. J Am Acad Dermatol 1992;27:583–8.

[13] Centers for Disease Control and Prevention (CDC). Transmission of primary and secondary syphilis by oral sex-Chicago, Illinois, 1998-2002. MMWR Morb Mortal Wkly Rep 2004;53:966-8

[14] Beral V, Bull D, Darby S, et al. Risk of Kaposi’s sarcoma and sexual practices associated with faecal contact in homosexual or bisexual men with AIDS. Lancet 1992;339:632–5.

[15] Schreeder MT, Thompson SE, Hadler SC, et al. Hepatitis B in homosexual men: prevalence of infection and factors related to transmission. J Infect Dis 1982;146:7–15

[16] Osmond DH, Charlebois E, Sheppard HW, et al. Comparison of risk factors for hepatitis C and hepatitis B infection in homosexual men. J infect Dis 1993;167:66–71

[17] Corey L, Holmes KK. Sexual transmission of hepatitis A in homosexual men. N Engl J Med 1980;302:435–8.

[18] Bailey JV, Farquhar C, Owen C, et al. Sexual behaviour of lesbians and bisexual women. Sexually Transmitted Infections 2003;79:147-150. [BMJPublishing Group Ltd]

[19] Cochran SD et al., Cancer-related risk indicators and preventive screening behaviors among lesbians and bisexual women, American Journal of Public Health, 2001, 91(4):591-597.

[20] Mercer et al, (2007).“Women Who Report Having Sex With Women: British National Probability Data on Prevalence, Sexual Behaviors, and Health Outcomes”. American Journal of Public Health. Vol. 97 (6): 1126–1133.

[21] Rosario, Margaret, Meyer-Bahlburg, Heino F.L., Hunter, Joyce and Gwadz, Marya. (1999). “Sexual Risk Behaviors of Gay, Lesbian, and Bisexual Youths In New York City: Prevalence and Correlates”. AIDS Education and Prevention. Vol. 11, No.6, Pg. 476–496.

[22] Alyssa Jackson (July 31, 2015) The high cost of being transgender.[edition.cnn.com]

[23] https://www.teenvogue.com/

[24] Sex reassignment surgery market 2018

সমকামিতার ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে ইউটিউবে আমার চ্যানেলে এই প্লেলিস্ট-টি দেখুন। ৬টি ভিডিও রয়েছে মোট।


Leave a Reply