কেন আমরা নারীর পোশাক নিয়ে কথা বলি


উগ্র পোশাক-আশাক কেবল আকর্ষণই না, বিকর্ষণও তৈরি করে। পোশাক নিয়ে কথাবার্তা বললেই একদল লোক দেখবেন বলছে: ওওও, লেগিংস-টিশার্ট দেখলে হুজুরের সমস্যা হয়? ঈমান *ড়িয়ে যায়? ইত্যাদি। নারীবাদের হিজাবী এজেন্টদেরকেও দেখবেন এইসব বাজে ভাষায় ইসলামিস্টদের এটাক করতে। ব্যাপারটা আসলে এমন না যে হুজুরদের এসব দেখলে কাম জেগে ওঠে বলে হুজুররা প্রতিবাদ করে। বরং একধরনের বিতৃষ্ণা জেগে ওঠে বলেই প্রতিবাদ করে। যাদের ভালো লাগে, আই-সুদিং লাগে তারাই চায় মেয়েরা উগ্র পোশাক পরুক। হুজুররা প্রতিবাদ করে বিকর্ষণ থেকে, আকর্ষণ থেকে নয়। আকর্ষণ লাগলে তো প্রতিবাদ করত না; মজা নিতো।

মেয়েদের (যে ধর্মেরই হোক) আমভাবে যে সম্মানের জায়গাটা ছিল, নারীবাদের নামে সেটাকে অস্বীকার করা হয়। War rape: a feminist view বইয়ে স্বীকার করা হয়েছে গণধর্ষণের একটা কারণ হল: পুরুষরা নারীদেরকে নিজের আত্মসম্মান মনে করে। শত্রু নারীদের ধর্ষণ করে শত্রু পুরুষদের আত্মসম্মান ধ্বংস করা হয়। অতএব সলুশন কী? সলুশন হল, নারীকে ‘সম্মান’ মনে করার এই মাইন্ডসেট থেকে পুরুষকে বেরিয়ে আসতে হবে৷ তাহলে যুদ্ধে আর ধর্ষণ হবে না। কী অদ্ভোত, তাই না?

নারীর এই শরাফতের জায়গা থেকেই বাইকে দু’পা দুদিকে দিয়ে বসাও আমাদের অপছন্দ। এইভাবে আমরা আমাদের মেয়েদের দেখতে চাই না। আমরা চাইনা আমাদের মেয়েরা অর্ধ উলঙ্গ হয়ে বা সেজে নাচুক। কষ্ট লাগে। আমাদের সমাজের একটা মেয়ে শরাফত ছেড়ে নটীদের মতো নাচছে, যেটা কিনা বাজারিদের কাজ। যেমন সৃজা লেগিংসের সাথে টপস ইন করে বাইরে বেরোক, চাননি সৃজার মা। হিন্দু ধর্মের তারা, তার মানে এটা জেনারেল ধর্মনির্বিশেষ ফিলিংস। বা ধরেন বাসে রেগে যাওয়া নারী। হয়তো নিজেই তেমন ধার্মিক না, কিন্তু মানতে পারেনি, নারীজাতি কীভাবে তার শরাফত নষ্ট করে এসব পরে বের হয়। ধর্মীয় বিধান একপাশে রাখলেও এটা প্রাচ্যের ঐতিহ্য যে, নারীর শরাফত বজায় থাকুক। এমন অবস্থায় আমি অন্য মেয়েকেও দেখতে চাই না, যে অবস্থায় আমি নিজ মা – স্ত্রী-কন্যাকে দেখতে পছন্দ করি না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে হিসু করা, অন্তর্বাসের ছবি ফেবুতে দেয়া, ইচ্ছেমতো অনাবৃত পোশাক পরা… ট্যাবু ভাঙার নামে নারীর জেনারেল শরাফত বা সম্মানের জায়গাটা নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। সম্মানের জায়গা থেকে পণ্যের মর্যাদায় নামিয়ে দেয়া হয়েছে। যে পণ্য মেটায় চোখের চাহিদা, মার্কেটিং এর চাহিদা, নষ্ট চাহিদা।

‘ধর্ষণে পোশাকের দায় নেই’ কথাটা জগতের নিকৃষ্টতম অবৈজ্ঞানিক কথা। রিসার্চের পর রিসার্চে এসেছে, পোশাক রেপমিথ তৈরি করে1। পোশাক মেসেজ দেয়, একে পটানো সম্ভব। পোশাকের ট্যাবু যে ভেঙেছে, সে মনে হয় সেক্সের ব্যাপারেও ফ্রিমাইন্ডেড। নারীদেহের গড়ন বুঝতে পারলে উত্তেজিত হতে পুরুষের সেকেন্ডের ফ্রাকশনও লাগে না। নারীদেহের প্রদর্শন পুরুষের মগজে সেই জায়গা উদ্দীপিত করে যা উদ্দীপিত হয় পর্নো বা ড্রাগে। বার বার দর্শন আরও বেশি ডোপামিনের হাহাকার তৈরি করে, আরও পেতে মনে চায়। এগুলো সব রিসার্চের রেজাল্ট বললাম। আরও আরও আছে। শীত থেকে বাঁচতে চাইলে আপনি যাচ্ছেতাই পরতে পারেন না। তেমনি পুরুষের নর্মাল সাইকোলজি প্রসেসিং থেকে বাঁচতেও আপনি যাচ্ছেতাই পরতে পারেন না। বাঁচতে না চাইলে ভিন্ন কথা।

<image>

মুসলিমরা নারীকে ইন জেনারেল শরিফ জ্ঞান করবে। মায়ের জাত। শরাফতের খাতিরে চোখ নামিয়ে কথা বলবে। যেকোনো অবস্থায় তাদেরকে দেখতে আমরা কমফোর্ট ফিল করি না। বিকর্ষণ-বিতৃষ্ণা লাগে। অস্বস্তি হয়, কষ্ট লাগে। ন্যূনতম শালীনতা, সম্মার্হতা, ভদ্রতা, শরাফতের লেভেল আমরা চাই তাদের কাছে। ঐ জায়গাটাতেই আশা করি, কল্পনা করি। আশাভঙ্গ হলে আমরা কথা বলি, প্রতিবাদ করি।


Leave a Reply